জেলায় জেলায় বিদ্যুতের ইচ্ছে মাফিক ব্লাকাউট , ৪ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৭ই অক্টোবর ২০২৪ ০৭:০৬ অপরাহ্ন
জেলায় জেলায় বিদ্যুতের ইচ্ছে মাফিক ব্লাকাউট , ৪ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা হেফাজতে

নানা দাবিতে বিভিন্ন জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছেন, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ। অবসানের প্রতিবাদে এবং অন্যান্য দাবি জানাতে তারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে মানিকগঞ্জে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পর, চার কর্মকর্তাকে যৌথ বাহিনী হেফাজতে নেয়।


বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মানিকগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের সব সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সদর উপজেলার মূলজান পল্লী বিদ্যুৎ অফিস প্রাঙ্গণে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এজিএম রাজিবুল হাসান, মো. হাসিব উদ্দিন, গিয়াজ উদ্দিন খান শাকিল ও ডিজিএম সামিউল কবির। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দুপুর দেড়টার দিকে কর্মকর্তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়।


জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার অনুরোধ করা হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা সম্ভব হয়নি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়, যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে।


এদিকে, বরিশালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন। তারা দাবি জানাচ্ছেন, সম্প্রতি অবসান করা জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রাখা হয়, যার ফলে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসের সামনে এসে প্রতিবাদ জানান।


সরকারি সূত্র অনুযায়ী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশ কিছু দিন ধরে তাদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে আন্দোলন করে আসছেন। স্থানীয়রা জানান, এর ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।


কুমিল্লায়ও একই ধরনের আন্দোলন চলছে, যেখানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অবসান করা হয়েছে। এ অবস্থায়, কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চলবে।


কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জরুরি সেবার ক্ষেত্রে স্থবিরতা তৈরি করার কারণে কর্মকর্তাদের চাকরি অবসান করা হয়েছে। 


এই আন্দোলন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে।


সরকারি কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা দাবি করেছেন, আন্দোলনকারীদের কার্যক্রম অযৌক্তিক এবং বিদ্যুৎ খাতের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। আন্দোলনকারীদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে, তারা বলেছেন যে দাপ্তরিক শৃঙ্খলার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করায় চাকরি বাতিল করা হয়েছে।