ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের সেনিহাড়ি বাললই পুকুরে গত ১৩ অক্টোবর একটি বিশেষ পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে আয়োজিত এই খেলা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি অংশ হিসেবে ফিরে এসেছে, যা নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকটাই অপরিচিত হয়ে পড়েছিল।
রবিবার দুপুরে পুকুরের পাশে জমায়েত হন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। স্থানীয় যুবকরা একটি হাঁস পুকুরে ছেড়ে দেন এবং প্রতিযোগীরা সেই হাঁস ধরার জন্য ঝাপিয়ে পড়েন। ৩০ জনের একটি দল সাঁতার কেটে ও ডুব দিয়ে হাঁসটির পেছনে লেগে যায়। পুকুরের চারপাশে থাকা দর্শকরা উল্লাসে করতালি দিতে থাকেন, যা পুরো পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
এখন থেকে কয়েক বছর আগে এই ধরনের খেলাগুলি স্থানীয় সমাজে বেশ জনপ্রিয় ছিল। তবে কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় যুবক সাবুল ইসলাম বলেন, "কালকে আমি বাজারে শুনলাম বাললই পুকুরে নাকি হাঁস খেলা হবে, এজন্যই এলাম খেলা দেখতে। খেলা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এটা হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা।"
খেলার আয়োজন সম্পর্কে খেলা কমিটির সদস্যরা জানান, "প্রথমবারের মতো আমরা এই খেলার আয়োজন করি। এটি আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খেলা। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের এলাকার মুরুব্বিরা এই খেলার আয়োজন করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরাও এই খেলার আয়োজন করেছি। এই খেলা আমাদের সমাজের মধ্যে একটি সম্প্রীতি তৈরি করবে।"
স্থানীয় যুবকরা খেলার মাধ্যমে তাঁদের সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তারা আশা করছেন, এই ধরনের খেলার আয়োজন আরও বেশি হবে এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে সজীব রাখতে সাহায্য করবে।
এটি একটি চিত্তাকর্ষক ঘটনা, যা শুধুমাত্র বিনোদনই নয়, বরং একটি সমাজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ এবং উদযাপন করারও একটি মাধ্যম। পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার একটি দিক উন্মোচিত হলো, যা সামাজিক সম্প্রীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।