কক্সবাজারের টেকনাফে ২৯ কেজি স্বর্ণসহ দুইজন কে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দকৃত স্বর্ণের বাজার মুল্য ২৮ কোটি ৭৫ লাখ লাখ টাকা। ধৃতরা হচ্ছে মিয়ানমারের মংডুর সুদা পাড়ার মীর আহমেদের পুত্র আনোয়ার সাদেক (৪০) ও উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের লিয়াকত আলীর পুত্র ইয়াহিয়া খান (৪৫)।
শনিবার (১০ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে আটটার দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)'র সদস্যরা হ্নীলা উত্তর ফুলের ডেইল এলাকা থেকে তাদের আটক করে।টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা বিওপির বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ১০০ মিটার উত্তর দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের উত্তর ফুলের ডেইল
গ্রামে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারীরা স্বর্ণের একটি বড় চালান একটি বাড়ীতে লুকিয়ে রাখার সংবাদ মেলে। ওই সংবাদে রাত সাড়ে আটটার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত উত্তর ফুলের ডেইল গ্রামে পৌঁছে সন্দেহভাজন বাড়ীটিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে তল্লাশী অভিযান চালায়। এসময় বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়ীতে অবস্থানরত দুইজন চোরাকারবারি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি টহলদল ধাওয়া করে চোরাকারবারীদের দুইটি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হন। আটককৃত ব্যাগের ভিতর হতে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মুল্যের ২৯.১৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী নগদ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
উক্ত চোরাকারবারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত ইয়াহিয়া খান মিয়ানমারের মংডু হতে আনোয়ার সাদেকের সহযোগিতায় উক্ত স্বর্ণালংকার পাচার করে এদেশে নিয়ে আসে।উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার এবং বাংলাদেশী টাকা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা ও ধৃতদের বিরোদ্ধে সরকারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।