বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও আটজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই বেঞ্চে চোরাচালান মামলায়ও তার খালাসের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
প্রায় ১৭ বছর কারাগারে থাকা বাবরের মুক্তিতে এখন আর কোনো আইনি বাধা নেই। কারা সূত্র জানায়, তার মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আজকেই এসব কাগজপত্র পৌঁছালে তিনি কারামুক্ত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলো অস্ত্র আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা হয়েছিল। পরে, দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত বাবরসহ ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন।
মামলার রায়ে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাবরের সঙ্গে আরও কয়েকজন আসামি এ রায়ে খালাস পেয়েছেন। এ নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
বাবরের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির এই খালাসের রায়কে সুবিচার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি জানান, এ রায় পর্যালোচনা করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই মামলায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আরও অনেকেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তবে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলাটি নতুন মোড় নিয়েছে।
ইতিপূর্বে, বাবর কারাগারে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এবার তার মুক্তি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, বাবরের মুক্তির দিনক্ষণ নির্ভর করছে কারাগারের আনুষ্ঠানিকতার ওপর।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।