আশাশুনিতে সুপেয় পানি নিশ্চিত করলো জনস্বাস্থ্য বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: বুধবার ১লা জুন ২০২২ ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে সুপেয় পানি নিশ্চিত করলো জনস্বাস্থ্য বিভাগ

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে সুপেয় পানি সংকটে থাকা ৩৫০ পরিবারকে সুপেয় পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে নির্মান বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠান উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফলে পরিবারগুলোর মধ্যে পানি নিয়ে ভাবনা ম্লান হয়ে যাওয়ার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গেছে।

 

কাদাকাটি ইউনিয়নের অনেক এলাকায় আর্সেনিক মুক্ত, লবণাক্ততা মুক্ত ও পানির অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানযুক্ত পানির অভাব প্রকট। এজন্য এলাকার মানুষ রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, ট্রিটমেন্ট পানির প্লান্টসহ নানা স্থান থেকে পানি সংগ্রহের চেষ্টা করে থাকে। সুপেয় পানির কষ্টে থাকা ইউনিয়নের তেতুলিয়া, মিত্র তেতুলিয়া, ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া ও টেশা কাশিপুর গ্রামের মানুষের মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর উদ্যোগ গ্রহন করে। এবং জিওবি ও ইউনিসেফের অর্থায়নে পানি সরবরাহ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়। 


প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে প্লান্ট নির্মান করা হয়। প্লান্ট থেকে ইতিমধ্যে সুপেয় পানি উৎপাদন কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। পরিষদ চত্বর থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামগুলোর নির্বাচিত স্থানে ২৭টি পয়েন্টে ট্যাপ নির্মান করা হয়েছে। এসব ট্যাপ থেকে প্রতিদিন ৩৫০ পরিবারকে চুক্তিমত নির্দিষ্ট পরিমান পানি সরবরাহ করা হয়। এসব ট্যাপ থেকে প্রতিটি পরিবার তাদের জন সংখ্যার ভিত্তিতে মাথা পিছু ১০ লিটার করে পানি গ্রহণ করবে। 


পরিবার প্রতি প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে পরিশোধ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট কমিটির পরিচালনায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কমিটি নির্দিষ্ট বিধি নিষেধ ও নির্দেশনা মত প্লান্ট পরিচালনা করবে। প্লান্ট সংরক্ষণ ও আয় ব্যয়ের হিসাব নিরুপণ সহ সুষ্ঠু ভাবে প্লান্ট পরিচালনা করতে ম্যানেজমেন্ট কমিটি যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। 



উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী --- বলেন, মানুষের সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। আমরা এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। কাদাকাটিতে ৩৫০ পরিবারকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পানির প্লান্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় একমাস মত ৪টির গ্রামের মানুষের নিকটবর্তী স্থান থেকে পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। 


স্বল্প ব্যয়ে, সহজে ও হাতের কাছে পানি পেয়ে এলাকার মানুষ খুবই খুশিতে আছে। প্লান্টটি দীর্ঘস্থায়ী করতে সেখানে শক্তিশালী ম্যানেজমেন্ট কমিটি করা হয়েছে। তারাও নিজেদের মনে করে কাজ করে যাচ্ছে।