আশাশুনিতে সেনাবাহিনীর বিচক্ষণতায় রক্ষা পেল ৩০০০ বিঘা জমির মাছ ও ফসল

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই মার্চ ২০২৫ ০৭:১৯ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে সেনাবাহিনীর বিচক্ষণতায় রক্ষা পেল ৩০০০ বিঘা জমির মাছ ও ফসল

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ৩০০০ বিঘা জমির মৎস্য ঘের এবং ফসল পানির অভাবে নষ্ট হতে চলেছিল। তবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে এবং বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের ফলে বাদী-বিবাদী আপোষে বাঁধ অপসারণ করা হয় এবং পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা সচল করা হয়। শনিবার সকাল ১০ টায় মন্টু সাহেবের প্রজেক্টের পাশে হেলাল হোসেন তার দেওয়া বাঁধ স্বেচ্ছায় অপসারণ করে নেন।


বাদী আরার গ্রামের আলহাজ্ব মিয়ারাজ আলী জানান, এই খাল দিয়ে যদুয়ারডাঙ্গা, কাদাকাটি এবং আশেপাশের তিন গ্রামের পানি এবং ৩০০০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের পানি উঠানামা করে। বৈরমপুর গ্রামের হেলাল হোসেন তার মৎস্য ঘেরের কাছে আড়াআড়ি বাঁধ দিলে, এলাকার মৎস্য ঘের শুকিয়ে মাছ নষ্ট হতে শুরু করে এবং মাছ চাষ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হলে, তিনি সেনা ক্যাম্পে পাঠান। সেনাবাহিনীর দ্রুত ও ন্যায়সংগত হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের কথা শুনে আপোষ মীমাংসা হয় এবং বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


তেঁতুলিয়া গ্রামের আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা জানান, ৩৫ বছর ধরে কাটাখালী গেটের মাধ্যমে পানি উঠানামা হয়ে আসছে, কিন্তু হেলালের বাঁধের কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। তিনি সেনাবাহিনীর প্রশংসনীয় হস্তক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞ।


বিবাদী হেলাল হোসেন বলেন, গত তিন বছর ধরে তার সাড়ে ৮ বিঘা জমির মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল, তাই বাধ্য হয়ে তিনি বাঁধ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ তার কথা শুনে ন্যায্য মীমাংসা করায়, তারা আপোষে বাঁধ কেটে দিয়েছেন।


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আশাশুনি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাঈমের দিকনির্দেশনায় এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু সাইদের সার্বিক সহযোগিতায় উভয় পক্ষের আপোষে বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। ফলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের পানির সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। বাঁধ অপসারণের পর, এলাকার মৎস্য ঘের ও ফসল প্রাণ ফিরে পেয়েছে এবং এলাকাবাসীর মধ্যে সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।