ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামে কাবিটা প্রকল্পের অধীনে রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত-উত-দৌলা ঝন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় কৃষকদের জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যান। এই ঘটনায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ভুক্তভোগী কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের মতে, কাবিটা প্রকল্পের অধীনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শাখারীদহ গ্রামে আলতাফের বাড়ি থেকে খলিশাকুড়োর বিল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য ১৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে মাটি সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট উৎস ব্যবহার করা উচিত ছিল, কিন্তু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাটি কৃষকদের চাষযোগ্য জমি থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, তাঁদের জমি থেকে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে রাতের আঁধারে মাটি কাটা হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের ফসল যেমন ধান, ভুট্টা ও মৌসুমি ফসল নষ্ট হচ্ছে, তেমনি কৃষকদের জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্থানীয় কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, "আমরা আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার জন্য কোন অনুমতি দিইনি। এই কারণে আমাদের ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং জমি ভবিষ্যতে চাষের উপযোগী থাকবে না।"
অন্য এক কৃষক আব্দুর রহমান জানান, "নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিক দিয়ে কোদালের মাধ্যমে মাটি কাটার কথা, কিন্তু চেয়ারম্যান তা করছেন না।"
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শরাফত-উত-দৌলা ঝন্টু বলেছেন, "প্রকল্পের স্বার্থে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে কোনো কৃষকের ক্ষতি করা হয়নি। যদি কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে, তবে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।"
হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, "বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রকল্পের বিল এখনও দেওয়া হয়নি। আমি সরজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করব।"
এ ঘটনায় এলাকার কৃষকরা ক্ষুব্ধ এবং তারা সুষ্ঠু সমাধান প্রত্যাশা করছেন। তারা চাইছেন, এই ধরনের কার্যক্রমের জন্য যথাযথ অনুমতি ও নিয়মাবলী অনুসরণ করা হোক।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।