কেউ ব্যস্ত খাওয়া নিয়ে, কেউ আবার অতিথিদের বরণ নিয়ে। বর-কনে নিয়ে ব্যস্ত আরেক দল মানুষ। এভাবেই বিয়ের অনুষ্ঠানের আনন্দে মশগুল সবাই। এমন সময় হঠাৎ হাজির পুলিশ। তাতেই সব পণ্ড। পুলিশের গাড়ি দেখেই দৌড়ে পালালেন বর-কনেসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকশ অতিথি।
সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, লকডাউনে সরকার বিয়েসহ যেকোনো ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে। এরই মধ্যে নোয়াপাড়া এলাকার কর্ণফুলী কনভেনশন হলে চার থেকে পাঁচশ লোকের আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পুলিশের গাড়ি দেখেই বর রফিকুল ইসলাম ও কনে শাহনাজ বেগমসহ উপস্থিত সবাই পালিয়ে যান। পরে কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক ও পাত্রীর বাবাকে আটক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সোমবার সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিয়ের আয়োজন করায় রাউজানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে পুলিশ দেখে সবাই পালিয়ে যান।
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বাদশা ও পাত্রীর বাবা মো. জামাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। কিন্তু প্রথমবারের মতো তাদের সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।’
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত তিনদিনের সীমিত লকডাউন (বিধিনিষেধ) দিয়েছে সরকার। এ সময় পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
বন্ধ থাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। এছাড়া জনসমাগম হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।