পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র, বর্তমানে অবৈধ স্থাপনার কারণে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। বেরীবাধের ভিতরে নির্মিত এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে বিনিয়োগকারীরা তাদের ক্রয়কৃত জমির ওপর মালিকানা দাবি এবং দখলের চেষ্টা পাচ্ছেন। এর ফলে কুয়াকাটায় পর্যটন খাত এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
জানা গেছে, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জমিতে অবৈধভাবে একাধিক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে অনেকেই জমির মালিকানা দাবি করে বিনিয়োগকারীদের হুমকি দেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় এসব দখলদাররা প্রথমে বেরীবাধের স্লপে বসবাস শুরু করেছিল, তবে বর্তমানে তারা বড় বড় টিনের ঘর নির্মাণ করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি কুয়াকাটার পর্যটন পরিবেশও বিপর্যস্ত হচ্ছে।
কুয়াকাটা গ্র্যান্ড পার্ল রিসোর্টের মালিক জানান, তিনি তার জমির সামনে অবৈধভাবে বসবাসরত চারটি পরিবারকে সরাতে ১২ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। বিনিয়োগকারী সিদ্দিকুর রহমান জানান, তার জমির সামনে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণকারী দখলদাররা তার জমি দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এছাড়া, স্থানীয় প্রশাসন এবং ভূমি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানিয়েছেন, সিডর পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পরিবারের পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং তাদের জমির কাগজও ফিরে গেছে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে কুয়াকাটার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।