বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি আমদানি করছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার। আগামী জানুয়ারি মাসে করাচি বন্দর থেকে এই চিনি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মূলত ভারত থেকে চিনি আমদানি করলেও এবার পাকিস্তান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চিনি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পাকিস্তান এই বছর ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার টন চিনি ইতোমধ্যেই থাইল্যান্ড কিনেছে। পাকিস্তানি ব্যবসায়ী মজিদ মালিক জানিয়েছেন, উপসাগরীয়, আরব এবং আফ্রিকার দেশগুলোও পাকিস্তানের সঙ্গে চিনি কেনার চুক্তি করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রপ্তানি থেকে দেশটি ৪০-৫০ কোটি ডলার আয় করতে চায়।
বাংলাদেশে রপ্তানির মাধ্যমে পাকিস্তান দীর্ঘদিন পর উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য শুরু করেছে। এর আগে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সীমিত থাকলেও তা কখনোই পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বৈরিতার প্রভাব বাণিজ্য সম্পর্কেও পড়েছে। তবে সাম্প্রতিক এই আমদানি সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত নভেম্বরে সরাসরি কনটেইনার জাহাজসেবা চালু হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পাঠানোর সুবিধা বেড়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর আগের অর্থবছরে এই ব্যয় ছিল ৮০ কোটি ডলার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নতুন বাণিজ্যিক সহযোগিতা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।