সাভারের কবর থেকে আবুল হারিছ চৌধুরীর মরদেহ তুলে করা ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিবারের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। এর ফলে এখন তার পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো কবরস্থানে হারিছ চৌধুরীর লাশ পুনরায় দাফন করা যাবে।
হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করার পর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, এখন পরিবারের পছন্দের কবরস্থানে হারিছ চৌধুরীর লাশ পুনরায় দাফন করা যাবে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন, সাভারে 'মাহমুদুর রহমান' নামে দাফন হওয়া মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এটি আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিবারের ডিএনএ এর সঙ্গে মিলে গেছে।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের দায়ের করা রিট আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি হয় এবং আদালত কবর থেকে মরদেহ তুলে ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। তার অভিযোগ ছিল, তার বাবার মৃত্যুর বিষয়ে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিক বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রচার করা হয়েছে, যা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য মর্মান্তিক ও কষ্টদায়ক ছিল।
এ ঘটনা ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের, যখন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব এবং বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আবুল হারিছ চৌধুরী 'মাহমুদুর রহমান' নামের পরিচয়ে ঢাকার সাভারের একটি মাদ্রাসা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
হারিছ চৌধুরী ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার পর সিলেটের কানাইঘাটে নিজের গ্রামের বাড়ি চলে যান। এরপর তার মৃত্যুর পর একটি নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং তার মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন ওঠে। এই রিট আবেদনের মাধ্যমে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে মীমাংসা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।