দুনিয়ার প্রতিটি কাজে আল্লাহর স্মরণের বিকল্প নেই। জিকির-আজকারেই রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের শান্তি এবং মুক্তি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় আল্লাহর জিকির করতেন। এটি ছিল উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য বিশ্বনবির শিক্ষা। যাতে দুনিয়ার প্রতিটি কাজে মানুষ আল্লাহর তাআলাকে স্মরণ করে।রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবিশ্রামের সময়ও আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত থাকতেন না। খানিক সময় বিশ্রামে গেলেও তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। যা মুমিন মুসলমানের জন্য বিশেষভাবে অনুসরণীয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিশ্রামে করতেন তখন ডান হাত ডান চোয়ালের নিচে রেখে এ দোয়া পড়তেন-
رَبِّىْ قِنِىْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
উচ্চারণ : 'রাব্বি ক্বিনি আজাবাকা ইয়াওমা তাবআছু ইবাদাকা।'
অর্থ : 'হে প্রভু! তুমি আমাকে সে দিন তোমার শাস্তি থেকে রক্ষা কর, যে দিন তুমি তোমার বান্দাদের উঠিয়ে নেবে।'
হজরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘুমাবার ইচ্ছা করতেন, তখন স্বীয় ডান হাতটি গালের নিচে রাখতেন, তারপর এই দোয়া পড়তেন-
اَللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ক্বিনি আজাবাকা ইয়াওসা তাবআছু ইবাদাকা।’
অর্থ : 'হে আল্লাহ! সেই দিনের আজাব থেকে আমাকে নিষ্কৃতি দাও, যেদিন তুমি তোমার বান্দাদের পুনরুত্থান ঘটাবে।' (তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ, রিয়াদুস সালেহিন)
মুমিন মুসলমানের উচিত দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় বিপদ ও শাস্তি থেকে নিজেকে বাঁচাতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়ায় নিজেদের জীবন পরিচালনা করা। এমনকি বিশ্রামের সময়ও যাতে এ থেকে বাদ না যায়। কেননা তিনি বিশ্রামের সময়ও আল্লাহর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা করতেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্রামের সময় হাদিসে শেখানো দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।