প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধের জন্য ২০ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। এতে ইতোমধ্যেই সম্মতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এখন হামাসের লিখিত অনুমোদনের অপেক্ষা চলছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি হামাস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে ইসরায়েল গাজায় হামলার তীব্রতা আরও বাড়াবে। অন্যদিকে, হামাস প্রস্তাবে রাজি হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারা জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এরপর গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে সমস্ত অস্ত্র ফেলে নিজেদের নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী পুরো গাজাকেও নিরস্ত্র করা হবে।
হামাস এখনও আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠির এক উচ্চপদস্থ নেতা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা প্রস্তাব লিখিত আকারে পাননি এবং তা পাওয়ার পরই তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ, ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ সুরক্ষিত করে এমন যেকোনো প্রস্তাবে তারা রাজি।
অস্ত্র সমর্পণের ক্ষেত্রে হামাস এখনও আপসহীন। উচ্চপদস্থ নেতা উল্লেখ করেন, যতদিন ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থাকবে, ততদিন তারা অস্ত্র ছাড়বে না। তিনি আরও বলেন, অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তখনই সম্ভব হবে যখন একটি কাঠামো তৈরি হবে যা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করবে, যা ১৭৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী হবে।
বৈঠক ও আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো গাজায় সহিংসতা বন্ধ এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিভিন্ন শর্ত নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমন্বয় ও আলোচনা চালু রয়েছে।
বিশ্ববাসী নজর রাখছে, হামাস প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশা করছে, প্রস্তাব কার্যকর হলে গাজায় দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনি জনগণের মানবিক দুর্দশা কমবে এবং অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
দু’পক্ষই জানান যে, এখন আলোচনার মূল ফোকাস হলো প্রস্তাবটি কার্যকর করতে কি ধাপগুলো নেওয়া হবে এবং কোন ধরনের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। শান্তি প্রক্রিয়া সফল করতে উভয় পক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য বলে মনে করা হচ্ছে।