আগৈলঝাড়ায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে পর্নোগ্রাফী মামলার আসামী আওয়ামী নেতা

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩ জুলাই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামে এক গৃহবধূ পুকুরে গোসল করতে গেলে একই গ্রামের কাজী আজাদের ছেলে ও গৃহবধূর চাচাতো ভাই কাজী বিফোর গোপনে মোবাইলে তার ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। সম্মত না হলে ২ লাখ টাকা দাবি করে। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী শাহাদাৎ ও স্থানীয় কাজী তুষারের কাছে জানালে তারা ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করেন।

পরে স্থানীয়ভাবে সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাজী বিফোর, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী শাহাদাৎ এবং কাজী তুষারের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করলেও পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে তারা জামিনে মুক্তি পান।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য নিয়মিত ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এমনকি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও তারা প্রভাব খাটিয়ে মুক্তভাবে চলাফেরা করছে। এতে ন্যায্যবিচার পাওয়া নিয়ে বাদী পরিবার শঙ্কায় রয়েছে।

তৎকালীন আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ভিডিও ধারণ, হুমকি এবং অর্থ দাবি করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছিল। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।