জান্নাতে বিশ্বনবির সঙ্গী হবেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৩শে জুলাই ২০১৯ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
জান্নাতে বিশ্বনবির সঙ্গী হবেন যারা

মা-বাবার জন্য সন্তান-সন্তুতি মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার। যদি তাদের কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষায় গড়ে তোলা যায়। ইসলামে সুমহান আদর্শে বড় হওয়া কন্যা সন্তানও বাবা-মাসহ তার লালন-পালনকারী ভাই কিংবা আত্মীয়-স্বজনের জন্য হয়ে উঠে অনেক উপকারী। হাদিসের ঘোষণায় কন্যা সন্তান তার লালন-পালনকারী জন্য ৩টি সর্বোত্তম পুরস্কার নিয়ে দুনিয়ায় আসে। কন্যা সন্তানের সুন্দর ও সঠিক লালন-পালনের ওপর নির্ভর করে সুসভ্য ও উন্নত জাতি। কেননা এ কন্যা সন্তানই একদিন মা হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে। আর মায়েদের কাছেই কাটে সন্তানের শৈশবকাল। মায়েদের কাছেই সে নীতি-নৈতিকতা ও ইসলামের সুমহান শিক্ষা পেয়ে থাকে।

কন্যা সন্তানের হাতে থাকে তার লালন-পালনকারীর জন্য জান্নাতের সুনিশ্চিত দাওয়াতনামা। কুরআনুল কারিমে কন্যা সন্তানের সংবাদকে ‘সুসংবাদ’ বলা হয়েছে। যাতে কন্যা সন্তান লাভে কেউ অখুশী না হয়।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কন্যা সন্তান লালন-পালনকারীর জন্য ৩টি সুসংবাদের ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্বনবির সে সুসংবাদ ৩টি হলো-
>> জাহান্নাম থেকে মুক্তি।
>> জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা।
>> জান্নাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ।

তবে বাবা-মাকে সঠিকভাবে কন্যা সন্তান লালন-পালন করতে হবে। তাকে ইসলামের সুমহান আদর্শ শেখাতে হবে। যাতে তার মাধ্যমে ইসলামের সুমহান শিক্ষা ব্যক্তি পরিবার ও সমাজে বিস্তৃত হতে থাকে। হাদিসে ঘোষিত সেসব লোকরাই এ পুরস্কার লাভ করবে যারা তার কন্যা সন্তানকে ইসলামের সঠিক আদর্শে বড় করে তুলবে। কুরআন ও হাদিসের শিক্ষায় শিক্ষিত করবে। আর তারাই হবে জান্নাত লাভের উপায়। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যাসন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির আড় (প্রতিবন্ধক) হবে। (তিরমিজি)

মনে রাখা জরুরি
সন্তান-সন্ততি (ছেলে-মেয়ে উভয়েই) আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত ও শ্রেষ্ঠ উপহার। ইসলাম উভয়কেই আলাদা সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। কাউকে কারও থেকে ছোট করা হয়নি কিংবা অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়নি। তবে কন্যা সন্তানের মাধ্যমে আল্লাহ পরিবারে সুখ ও বরকত দান করেন বলে হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কোনো মা-বাবা বা পরিবার যেন কন্যা সন্তানের উপর নাখোশ না হন। কিংবা কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠের ফলে অসন্তোষ প্রকাশ না করেন। কেননা এ মনোভাব প্রকাশ করা জাহেলি যুগের কুপ্রথার শামিল। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কন্যা সন্তানসহ সব শিশুকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সুশিক্ষিত করার তাওফিক দান করুন। সন্তান-সন্তুতিকে জান্নাত লাভের ও জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হিসেবে পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর