প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৫, ২২:৩৭
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন, তার বক্তব্য সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নয়, বরং বসুন্ধরা মিডিয়া হাউসকে উদ্দেশ্য করেই ছিল। রোববার রাতে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে ‘সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন।
প্রতিবেদনের নিচে নিজের মন্তব্যে হাসনাত লেখেন, ‘সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি।’ এর আগেই তিনি রাজশাহী নগরীর রেলগেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এনসিপির পদযাত্রায় অংশ নেন, যেখানে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি নজর রাখার কথাও বলেন। ওই বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কিছু সাংবাদিক তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
হাসনাত আরও অভিযোগ করেন, বসুন্ধরা মিডিয়া ‘খুনি হাসিনার’ পক্ষ নিয়ে বরাবরই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নিয়েছে এবং এখনো একটি নতুন এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। তার মতে, জনগণ এসব ‘চক্রান্ত’ কখনোই মেনে নেবে না এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জুলাই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এই আন্দোলনের শেষ লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের অংশগ্রহণে সংগ্রাম চলবে বলে জানান তিনি।
হাসনাত তার বক্তব্যে আবারও সরকার ও ক্ষমতাসীন মহলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলার আকাশে আবারও দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। জনগণকে এখনই প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এনসিপি নেতার দাবি, তাদের আন্দোলন কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রশ্নে একটি জনতার অভ্যুত্থান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর কোনো গুম-খুনের ঘটনা এই দেশে বরদাশত করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘আর কোনো মায়ের বুক খালি হতে দেব না। আর কোনো ইলিয়াস আলী হারিয়ে যাবে না। কোনো দেশপ্রেমিক সাংবাদিককে পালিয়ে বিদেশে থাকতে হবে না।’
হাসনাতের এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এটিকে গণমাধ্যমের প্রতি হুমকি হিসেবেই দেখছেন, যদিও তিনি তা অস্বীকার করছেন।