প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৬
পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে শয়তান। সে জন্ম থেকেই আমাদের ধোঁকায় ফেলতে, গুনাহে ডুবিয়ে দিতে এবং আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে দিতে সদা সক্রিয়। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিখিয়েছেন—কিভাবে এই চিরশত্রুকে হারিয়ে দেওয়া যায়। হাদীসের আলোকে তিনটি কার্যকর উপায় এখানে তুলে ধরা হলো। প্রথমত, শয়তানকে পরাজিত করতে হলে অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা
করতে হবে। একবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ঘরে প্রবেশ করার সময় বলবে—আল্লাহর নাম নিয়ে প্রবেশ করছি, তখন শয়তান তার সঙ্গীদের বলবে, এখানে থাকারও জায়গা নেই, খাওয়ারও জায়গা নেই।’ (মুসলিম)। অর্থাৎ, প্রতিটি কাজে বিসমিল্লাহ বলা হলে শয়তান দূরে থাকে। দ্বিতীয়ত, কুরআন তিলাওয়াত শয়তানের বিরুদ্ধে একটি দুর্ভেদ্য ঢাল। রাসুল (সা.) বলেন, “তোমরা সূরা বাকারাহ পাঠ করো, কেননা শয়তান যে ঘরে সূরা বাকারাহ পাঠ করা হয়, সেখানে প্রবেশ করতে পারে না।”
(তিরমিজি)। তাই প্রতিদিন অন্তত কিছু আয়াত পাঠ করাও শয়তান দূর করার অন্যতম উপায়। তৃতীয়ত, নিয়মিত ও সময়মতো সালাত আদায় শয়তানকে দমিয়ে রাখে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে, সে আল্লাহর হেফাজতে থাকে, আর শয়তান তার কাছে ঘেঁষতে পারে না।’ (বুখারি)। ফলে যেসব মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের প্রতি যত্নবান, তাদের হৃদয়ে শয়তান বাসা বাঁধতে পারে না।
এ ছাড়াও রাসুল (সা.) আমাদের নিয়মিত দোয়া, ইস্তেগফার, জিকির ও সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন—যা সবই শয়তানের ফাঁদ কাটিয়ে ওঠার উপায়। তাই যদি আমরা শয়তানকে সত্যিকার অর্থে পরাজিত করতে চাই, তবে এই রাসুল প্রদর্শিত পথগুলো অনুসরণ করতে হবে। দুনিয়ার যাবতীয় বিপদ ও ফিতনা থেকে বাঁচতে হলে, শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়াই মূল চাবিকাঠি। রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহর আলোকে জীবন সাজালেই তা সম্ভব। এই পথেই রয়েছে ইহকাল ও পরকালের মুক্তির নিশ্চয়তা।