প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৬
কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে ঘুরতে গিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম কে এম সাদমান রহমান সাবাব, তার বাড়ি ঢাকার মিরপুরে এবং তিনি চবির শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। নিখোঁজ অপর দুই শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ, তাদের বাড়ি বগুড়ায়।
মঙ্গলবার সকালে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জানা যায়, সোমবার রাতে প্রথম বর্ষের চার শিক্ষার্থী ঘুরতে কক্সবাজারে যান। সকালে তিনজন সৈকতের পানিতে নেমে নিখোঁজ হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী জানান, শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে কক্সবাজারে গিয়েছিলেন এবং প্রশাসন বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। এক শিক্ষার্থীর মরদেহ স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও অপর দুই জনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের একটি দল কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সহকারী প্রক্টর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈকতের এই অংশে স্রোতের গতি ছিল অত্যন্ত তীব্র, যা আগত পর্যটকদের জন্য অনেক সময় বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিশেষত যারা সমুদ্রের আচরণ সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন, তাদের জন্য হিমছড়ি এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার খবরে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও শিক্ষকরা শোক প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি পর্যটন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববান ভূমিকা কামনা করছেন সকলে।
ঘটনাটি তদন্ত ও উদ্ধার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।