প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১১:১৭
পোল্যান্ডের প্রধান সমুদ্রবন্দর গডানস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ময়নুল ইসলাম ও গডানস্ক বন্দর কর্তৃপক্ষের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালান আলেকসান্ড্রোইচের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে চট্টগ্রাম ও গডানস্ক বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং রুট স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গডানস্ক বন্দরের কার্যক্রম, সক্ষমতা ও কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে বিস্তারিত ব্রিফ দেওয়া হয়।
উভয় পক্ষ সরাসরি নৌযোগাযোগের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা মনে করেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় বন্দরকে আরও উন্নত করা সম্ভব। এছাড়া সরবরাহ চেইন, তথ্য বিনিময় এবং লজিস্টিক সহায়তা খাতে যৌথ কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
আলোচনার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজনের মাধ্যমে সম্ভাব্য রূপরেখা নির্ধারণে সম্মতি হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস এই বৈঠককে শুধু দুটি বন্দরের মধ্যে নয়, বরং দুই দেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
গডানস্ক বন্দর বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত পোল্যান্ডের সবচেয়ে বড় এবং অন্যতম প্রধান সমুদ্রবন্দর। এর আধুনিক সুবিধা ও অবস্থানগত গুরুত্ব বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে নতুন যোগাযোগের দ্বার খুলে দিতে পারে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পরিবহন খাত আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ময়নুল ইসলাম পুলিশের আইজিপির দায়িত্ব পালন শেষে গত ৯ এপ্রিল সরকারি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এরপরই তার অবসরোত্তর ছুটি স্থগিত করে তাকে পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ২ জুলাই পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র জমা দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এই নতুন নিয়োগ এবং পোল্যান্ডের সঙ্গে বন্দর ভিত্তিক সহযোগিতা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আশা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেবে।
বাংলাদেশ-পোল্যান্ড বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে এবং সমুদ্রপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।