ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে হজ। প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। হজের মাধ্যমেই একজন মুমিন বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সুযোগ পায়।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, ‘যারা মক্কা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম তাদের উপর হজ ফরজ।’ এটি ইসলামের পঞ্চম রোকন হিসেবে পরিগণিত। নামাজ, রোজা, যাকাতের মতোই হজের গুরুত্ব অপরিসীম।
শরীয়তের পরিভাষায় হজ মানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট নিয়মে কাবা শরীফ জেয়ারত ও নির্দিষ্ট আমল পালন করা। মহান আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই হজ আদায় করা হয়।
হজ ইসলামের এমন এক ইবাদত যার মাধ্যমে আত্মিক উন্নতি, কলবের প্রশান্তি এবং দুনিয়া-আখিরাতে কল্যাণ লাভ করা যায়। হজ মানুষের জীবনে এক নতুন পরিবর্তন আনে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে মানব সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন, সুতরাং তোমরা হজ আদায় কর।’ (মুসলিম)। তবে বারবার হজ করাকে নফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
একাধিক হাদিসে হজ আদায়ে বিলম্ব না করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ মানুষ জানে না ভবিষ্যতে সে সুযোগ পাবে কিনা। হজের নিয়ত থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা আদায় করাই উত্তম।
রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, হজ ও উমরাহ পালন পাপ মোচনের মাধ্যম। হজ পালনকারীরা জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করে। তাদের গুনাহ মোচন হয়ে যায়। তারা নবজাতক শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।
ইসলামic বিধান অনুযায়ী, নবম হিজরিতে হজ ফরজ হয়। রাসুল (সা.) স্বয়ং ১০ম হিজরিতে হজ আদায় করেছেন। তার শিক্ষা ও আদর্শই প্রতিটি মুসলমানের জন্য অনুসরণীয়।
হজ পালনের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন আসে তা শুধুমাত্র আল্লাহর রহমতেই সম্ভব। এজন্যই হজ শুধু আচার-অনুষ্ঠান নয়, এটি আত্মশুদ্ধির সর্বোত্তম মাধ্যম।