আগামীকাল সোমবার (২ জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে বিকেল ৩টায় এ বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক ও কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। নিচে সেসব পণ্যের তালিকা দেওয়া হলো:
ফ্রিজ ও এসি: দেশে তৈরি ফ্রিজে ভ্যাট ২.৫% বেড়ে ৭.৫% হয়েছে। বিদেশি কম্প্রেসর ও উপকরণের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। ফলে ফ্রিজ ও এসির দাম বাড়তে পারে।
মোটরসাইকেল: ২৫০ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ১০% আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে।
মোবাইল ফোন: মোবাইল ফোনের উৎপাদনে ভ্যাট ২% বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। ফলে মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।
সিগারেট: সিগারেটের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্যস্তর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।
বিদেশি পানির ফিল্টার: বিদেশি পানির ফিল্টারের আমদানি শুল্ক ১০% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করার প্রস্তাব রয়েছে। ফলে দাম বাড়বে।
বৈদ্যুতিক বাতি: এলইডি ও এনার্জি সেভিং বাতির উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ১০% আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাতির দাম বাড়তে পারে।
জেনারেটর: জেনারেটরের সংযোজন ও উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে ১% শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। ফলে দাম বাড়তে পারে।
কোমল পানীয়: কোমল পানীয়ের ওপর ভ্যাট ৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% করার প্রস্তাব রয়েছে। ফলে দাম বাড়তে পারে।
আইসক্রিম ও আমসত্ত্ব: আইসক্রিমে সম্পূরক শুল্ক ৫% বাড়িয়ে ১০% করার প্রস্তাব রয়েছে। আমসত্ত্ব ও ফলের রসের ওপর ভ্যাট ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করার প্রস্তাব রয়েছে। ফলে দাম বাড়তে পারে।
মুঠোফোন সেবা: মুঠোফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ৫% বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে।
হাসপাতাল সরঞ্জাম: বিশেষায়িত হাসপাতালের শুল্কছাড় সুবিধায় ১% শুল্ক ১০% করার প্রস্তাব রয়েছে। ফলে চিকিৎসাসেবা মূল্য বাড়বে।
বিনোদন সেবা: বিনোদনকেন্দ্রের ওপর ভ্যাট ১৫% করার প্রস্তাব রয়েছে। ফলে বিনোদনের খরচ বাড়বে।
গাড়ি: বিলাসবহুল গাড়ির ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। ফলে গাড়ির দাম বাড়বে।
সুইচ ও সকেট: সুইচ ও সকেটের যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক ১% থেকে ৫% করার প্রস্তাব রয়েছে। ফলে দাম বাড়বে।
এই সব পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে, ভোক্তাদের দৈনন্দিন জীবনে খরচ বাড়বে। তবে কিছু পণ্যের দাম কমারও সম্ভাবনা রয়েছে, যেমন ল্যাপটপ, গুঁড়া দুধ, বিদেশি পোশাক, ডায়ালাইসিস সেবা, ডেঙ্গু কিট, ক্যান্সার চিকিৎসা, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি।