প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ২২:৫
সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি দাবিতে বলা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর বেঙ্গালুরুর দেবী শেঠি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পোস্টে দাবি করা হয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং গত ২১ মে মৃত্যুবরণ করেন।
তবে অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এই তথ্যের কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি। তারা জানিয়েছে, এই ধরনের কোনো খবর গণমাধ্যমে বা কোনো নির্ভরযোগ্য উৎসে প্রকাশিত হয়নি। দেবী শেঠির হাসপাতাল থেকেও এমন কোনো তথ্য জানানো হয়নি, বরং গোটা বিষয়টি নিছক গুজব।
এছাড়া আওয়ামী লীগ বা তার কোনো শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও এমন মৃত্যুসংক্রান্ত শোকবার্তা বা ঘোষণা প্রকাশ করা হয়নি। বরং দলের পক্ষ থেকে ২৪ মে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের যেকোনো বক্তব্য, বিবৃতি বা তথ্য শুধুমাত্র অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।
এই বিজ্ঞপ্তি থেকে স্পষ্ট যে, আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য নেই। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মারা গেলে দলীয় পর্যায়ে, সংসদীয় পর্যায়ে এবং গণমাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই ঘটেনি।
সুতরাং শুধুমাত্র ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবিকে সত্য হিসেবে ধরে নেওয়া একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয়। বরং এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা প্রচারণা বলেই প্রতীয়মান হয়।
ফেক নিউজ ও গুজব ছড়ানোর এই ধারাবাহিকতা নতুন কিছু নয়। অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার বহু উদাহরণ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে নাগরিকদের দায়িত্ব হচ্ছে কোনো তথ্য যাচাই না করে তা শেয়ার না করা এবং দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণ বজায় রাখা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে প্রচার করলেই তা সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
বর্তমানে আসাদুজ্জামান খান কামাল জীবিত আছেন এবং তার মৃত্যুর খবরটি ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক পর্যবেক্ষণ ও যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান।