প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১১:৫৭
প্রতি বছর জিলহজ মাস শুরু হতেই মুসলিম উম্মাহ কুরবানি এবং হজ পালন নিয়ে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়। কুরবানি হলো ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং নবী ইবরাহিম (আঃ) এর ত্যাগের স্মৃতি হিসেবে পালন করা হয়। কুরবানি করা পশুর মাংস গরীব ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা মুসলিম সমাজে ঐক্য ও সৌহার্দ্য বাড়ায়। এটি শুধুমাত্র পশু কোরবানি নয়, বরং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও মানবিকতার এক প্রকাশ।
অপরদিকে, হজ হচ্ছে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোটি কোটি মুসলিম প্রতিবছর মক্কা মদিনায় হজ পালন করেন। হজ ইবাদত মুসলিমদের আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি সুযোগ। বিভিন্ন রীতিনীতির মধ্য দিয়ে হজযাত্রীরা তাদের ঈমানকে দৃঢ় করে এবং ইসলামী ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
করোনা মহামারির কারণে বিগত কয়েক বছর হজযাত্রায় অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। তবে বর্তমানে বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হজ পূর্ণ পরিসরে পালনের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা নিরাপদ পরিবেশে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা পালন করতে পারছেন।
জিলহজ মাসের এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত মুসলিম জীবনে আত্মশুদ্ধি, তাওবা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ প্রদর্শক। কুরবানির মাধ্যমে গরীব ও দুঃস্থদের খাদ্যের ব্যবস্থা করা সমাজে মানবতা ও ভালোবাসার বার্তা দেয়। হজের মাধ্যমে মুসলিমরা নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ইসলামের গভীরতা অনুধাবন করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কুরবানি ও হজ শুধুমাত্র ধর্মীয় রীতি নয়, বরং সামাজিক সম্প্রীতি এবং নৈতিকতার ভিত্তি গঠন করে। মুসলিম সমাজে এগুলো সামাজিক দূরত্ব কমিয়ে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করে।
সুতরাং, জিলহজ মাসে কুরবানি ও হজের মাহাত্ম্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই ইবাদতগুলি মুসলিমদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত কুরবানি ও হজের তাৎপর্য উপলব্ধি করে তা যথাযথভাবে পালন করা।