প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ১০:৫৬
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ পবিত্র হজ। প্রতি বছর বিশ্বের লাখো মুসলমান সৌদি আরবে গিয়ে এই মহিমান্বিত ইবাদত পালন করেন। চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে আর মাত্র তিন দিন পর। ইতোমধ্যে ১০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।
জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের প্রধান ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এই সময় হাজিরা মিনায় অবস্থান, আরাফাতে উকুফ, মুজদালিফায় রাতযাপন, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি, মাথা মুণ্ডন ও তাওয়াফ সম্পন্ন করে থাকেন। প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে ইবাদতের গভীর তাৎপর্য।
হজের দ্বিতীয় দিন লাখো হাজি সমবেত হন আরাফাতের ময়দানে। এটি হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ময়দানেই অবস্থিত ঐতিহাসিক জাবালে রহমত, যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই দিনটি হাজিদের জন্য রুহানিয়াতের চরম শিখরে পৌঁছানোর সময়।
চলতি বছর ৫ জুন পালিত হবে আরাফার দিন। ওই দিন হাজিরা আরাফাতের ময়দানে জড়ো হয়ে নামাজ আদায় ও দোয়ায় মগ্ন থাকবেন। আরাফাতের ময়দানে এই দিনেই প্রদান করা হবে ঐতিহাসিক হজের খুতবা, যেটি সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এবার হজের খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। সৌদি আরবের ধর্ম বিষয়ক প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, বাদশাহ সালমান তাকে খুতবা প্রদান করার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি ৯ জিলহজ অর্থাৎ ৫ জুন এই খুতবা প্রদান করবেন।
হজের খুতবায় ইসলামি জীবনবোধ, আত্মশুদ্ধি ও একাত্মতার বার্তা উচ্চারিত হয়। এটি শুধু হাজিদের জন্য নয়, বিশ্ব মুসলিমের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য। এবারের খুতবায়ও সেই বার্তাই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরদিন ৬ জুন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পালিত হবে ঈদুল আজহা। হজ ও কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানদের আত্মত্যাগ, ভ্রাতৃত্ববোধ ও তাকওয়ার বার্তা পৌঁছে যায় বিশ্বব্যাপী।