প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১৬:৫৩
আগামীকাল (৭ জুন) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির স্বেচ্ছাসেবকরা সরাসরি উপস্থিত থেকে জরুরি সেবা নিশ্চিত করবেন। একই সঙ্গে দুই সিটির জন্য আলাদা হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে, যা নাগরিকদের যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দিতে সক্ষম হবে।
গতকাল (৬ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হুসাইন এবং দক্ষিণের যুগ্ম সমন্বয়কারী এস এম শাহরিয়ার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তারা জানান, হটলাইন কল করার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে এনসিপির প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে এবং জরুরি সহায়তা প্রদান করবে।
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদ উপলক্ষে বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনকে সমর্থন দেওয়া হবে যাতে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। পাশাপাশি, ওয়ার্ড-ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালানো হবে যাতে জনসাধারণ ঈদ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির নেতারা বেশ কিছু দাবি ও প্রস্তাবও উত্থাপন করেন। তারা বলেন, কোরবানি উপলক্ষে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক অস্থায়ী চামড়া সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা আবশ্যক। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।
নেতারা আরো বলেন, ঢাকার সব বর্জ্য অবশ্যই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে এবং নগরবাসীর স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ব্লিচিং ও পরিষ্কারক ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। ঈদের সময় ফাঁকা রাজধানীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও তাদের অন্যতম দাবি। গরু ব্যবসায়ী এবং সাধারণ যাত্রীদের যাত্রাপথ নিরাপদ রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর উত্তরের সদস্য সরদার আমিরুল ইসলাম, খালেদা আক্তার, কাজী সাইফুল ইসলাম, ওমর ফারুক, দক্ষিণের সানাউল্লাহ খান, কেন্দ্রীয় সদস্য জায়েদ বিন নাসের ও তাওহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ঈদ উদযাপন আরও সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন হবে।
এনসিপির এই উদ্যোগ ঢাকার নাগরিকদের জন্য এক ধরনের সেবামূলক প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ঈদে সামাজিক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।