বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে রক্ষায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই। সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য আগে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন, কারণ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব। নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার ফলে স্বৈরাচারেরা সুবিধা পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রোববার রাজধানীর কদমতলীতে রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়ে বিএনপির এক কর্মশালায় বক্তব্য দেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, বহু মানুষ ভোটাধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে। তাই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি।
তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে এবং গণতান্ত্রিক শাসন নিশ্চিত করতে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্রক্রিয়া যত দীর্ঘ হবে, জনগণের দুর্ভোগ তত বাড়বে এবং স্বৈরশাসকদের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বহু আগেই দেশের সংস্কার নিয়ে কথা বলেছে এবং আড়াই বছর আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছে। বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের সাথে বিএনপির ৩১ দফার খুব বেশি পার্থক্য নেই বলেও তিনি দাবি করেন।
এ সময় তিনি সরকারের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ১০ টাকা কেজি চালের মতো অবাস্তব প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা উচিত।
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি মনে করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ছাড়া দেশের স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে। স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপির এই কর্মশালায় দলের সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং ভবিষ্যতে দলের করণীয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।