শহিদদের রক্তে ভোট রাজনীতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৪ অপরাহ্ন
শহিদদের রক্তে ভোট রাজনীতি!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুলওয়ামা হামলার কথা আগে থেকেই জানতেন। তবে হামলা প্রতিহত করতে কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি। মমতার দাবি, ব্যালট বাক্সে ভোট বাড়াতেই মোদি ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’ শুরু করেছেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতী হামলায় বেসামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪০ সদস্য নিহত হয়। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। এর পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়।

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) কোর কমিটির সভায় ভাষণদানকালে গতকাল সোমবার কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, হাতে গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও পুলওয়ামার হামলা এড়াতে প্রধানমন্ত্রী কেন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেননি? পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি জানতেন হামলা হতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তাহলে কেন জোয়ানদের বিমানে করে নেওয়া হলো না? কেন তল্লাশির ব্যবস্থা ছিল না? রাস্তা বন্ধ করা হয়নি কেন? যে কেউ ওই সড়ক দিয়ে চলাফেরা করার সুযোগ পেয়েছে। কেন? কারণ ভোটের সময় এই ঘটনা থেকে ফায়দা লুটতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন মোদি যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছেন।’

এই প্রথম মমতা পুলওয়ামা ঘটনার জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দায়ী করলেন। শুধু মোদি নয়, তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টিকেও (বিজেপি) এ সময় তুলাধোনা করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের আগে তাঁর রাজ্যে বিপুল অঙ্কের টাকা ছড়ানো হচ্ছে। ট্রেনভর্তি করে টাকা আসছে। তিনি প্রশ্ন করে, ‘এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস কোথায়?’ এ ছাড়া বিজেপি হিন্দু-মুসলমান বিরোধ বাধানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘বোরকা পরে লোকজন ঘুরছে। আর গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে এরা ছেলেধরা। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের খেপিয়ে তোলা। আমরা এ ধরনের বহু ঘটনার কথা জেনেছি।’
মমতা দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘এ ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবে আপনারা হাতে আইন তুলে নেবেন না। পুলিশকে জানান। তারা ব্যবস্থা না নিলে আমার কাছে আসুন। আমার বাড়ির দরজা আপনাদের জন সব সময় খোলা। সরাসরি আমাকে জানান।’

ইনিউজ ৭১/এম.আর