প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৫
দেশের সাত জেলায় গতিশীল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরের মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এসব এলাকায় দুপুর ১টার আগে এই ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। নদীবন্দরগুলোকে তাই এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, যাতে নদীপথে চলাচলরত যাত্রী এবং নৌযানগুলো নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বয়ে আসা ঝড়ো হাওয়া এসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও বাতাসের গতিবেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে নদী বন্দরের পাশাপাশি সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। আবহাওয়ার এই অবস্থায় নদীপথে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার জন্য আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে, তারপর ধীরে ধীরে কমতে পারে। কিন্তু বেলা দুইটার পরেও আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে কিছু এলাকায় মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগের এই সতর্কতা এলাকাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত যারা নদীপথে বা জলযান ব্যবহার করেন তাদের জন্য। নদীপথে যাতায়াতের সময় ঝড়-বৃষ্টির কারণ রকেটে ফেলা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের ঝুঁকি থাকে। তাই সবাইকে সাবধান হতে বলা হয়েছে।
জেলার প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডও নদীর পানির স্তর ও পানি প্রবাহ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতিও জোরদার করা হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রতি জরুরি বার্তা প্রচার করা হচ্ছে যাতে তারা নিজেরা প্রস্তুত থাকতে পারেন।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এই ধরনের ঝড়বৃষ্টি চলতে পারে। এতে মৎসজীবী, নৌসেবক, কৃষক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোও ঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে কোনরকম দুর্যোগ এড়ানো যায়। এসব কারণে এ সময় সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।