প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৫, ২০:৪৫
ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় যমুনা নদীতে ছয় কিশোরী গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে সিকান্দরা থানার ওই এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, কিশোরীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য মোবাইলে রিলস ভিডিও বানাচ্ছিলেন এবং নদীর ধারে খেলাধুলা করছিলেন। পরে গরমের প্রভাবে শরীর ঠাণ্ডা করার উদ্দেশ্যে তারা পানিতে নামেন। প্রথম দিকে তারা নদীর কিনারায় ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে গভীর পানিতে চলে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে যান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চারজন কিশোরী ঘটনাস্থলেই ডুবে যায় এবং বাকি দুইজনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই কিশোরীও মারা যান। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ছয়জন হয়েছে। নিহত ছয়জনই ওই অঞ্চলের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকা শোকাহত হয়ে পড়ে।
একই গ্রামের এক আত্মীয় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তারা কৃষিজমিতে কাজ শেষে নদীতে গিয়েছিল শরীর ঠাণ্ডা করার জন্য। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা কল্পনাও করা যেত না। এই ঘটনার খবরে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তারা দ্রুত নদীর পাড়ে ছুটে যান। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।
অধিকাংশ সময়ই নদীর ধারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ভিডিও বা ছবি তোলার সময় মানুষের সতর্কতা কমে যায়। এই ঘটনাটি তাই আমাদের সতর্ক করে দেয় যে, যে কোনো মুহূর্তেই অসাবধানতার কারণে বড় ক্ষতি হতে পারে। এলাকাবাসীর সহায়তায় দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে, তবুও এই দুর্ঘটনা গভীর শোকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।