প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৮
ভারতের আসামের শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এনআইটি) বাংলাদেশি পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা তাদের সহপাঠী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শাস্তি পেয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা গত ১২ সেপ্টেম্বর হোস্টেল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শীঘ্রই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত ৯ সেপ্টেম্বর। তৃতীয় বর্ষের একদল বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তাদের ফাইনাল বর্ষের সহপাঠীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হন। কলেজের পরিচালক অধ্যাপক দিলীপ কুমার বৈদ্য জানিয়েছেন, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবর্ষের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের দুটি সেমিস্টারের ক্লাসে যোগদানের অনুমতি নেই।
এনআইটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা হোস্টেলের ২০৬ নাম্বার ঘরে মাদকাসক্ত অবস্থায় সহপাঠীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে লোহার রড, ছুরি ও স্ক্রু ড্রাইভার ছিল। হামলা প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলেছে, যার ফলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। অন্তত দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (এসএমসিএইচ) ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, অভিযুক্তরা প্রথমে নিজেদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সিনিয়র শিক্ষার্থীরা হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে তারা ক্লাসরুমে ডেকে আলো নিভিয়ে অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ শুরু করে। হামলার সময় মাদকদ্রব্য এবং চুরি হওয়া লোহার রডও উদ্ধার করা হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা নিজেরা তদন্ত চালিয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গুয়াহাটি জোনের একজন ঊর্ধ্বতন আইসিসিআর কর্মকর্তা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন এবং গ্রহণকৃত ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ারের ডিন এস.এস. ধর জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পাসের ভেতরে সহিংসতার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খুনের অভিযোগ এবং মাদকদ্রব্য পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশকে এখনও অবহিত করা হয়নি।
এই ঘটনায় এনআইটি শিক্ষার্থী ও প্রশাসন উভয়ের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।