প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৭
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে লেখাপড়া করতে না দেয়ায় স্বামীর উপর অভিমান করে ইতি (১৮) নামে এক মেধাবী গৃহবধুর আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।শনিবার দুপুরে হাদিরা ইউনিয়নের হাদিরা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ইতি হাদিরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়ার স্ত্রী।স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুর হোসেন জানান, ইতি ছিলেন আল আমীনের দ্বিতীয় স্ত্রী।তিন বছর আগে একই গ্রামের মুত্তালিব মিয়ার কন্যা সেলিনাকে বিয়ে করেছিলেন আল আমীন।
সেলিনার বাবা মুত্তালিব হোসেন জানান, কন্যা সন্তান প্রসব করায় প্রায়ই সেলিনাকে মারধোর করতো আল আমীন ও তার পরিবার।নির্যাতন সইতে না পেরে নাবালক কন্যাসহ সেলিনা বাবার বাড়ি চলে আসেন। পরে ডিভোর্স হয়।পড়শী হাসিনা বেগম জানান, পাঁচ মাস আগে আল আমীন যৌতুক নিয়ে ঝাওয়াইল গ্রামের দুলাল মিয়ার কন্যা ইতিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুলাল মিয়া জানান, ইতি মেধাবী ছাত্রী ছিল।গতবার ফরম ফিলাপ করার পরেও তাকে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে দেয়নি আল আমীন।
মেয়েটি কলেজে পড়ার জন্য বায়না ধরেছিল।এজন্য তাকে প্রায়ই মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করা হতো।শনিবার দুপুরে ইতি পড়ালেখার কথা তুলতেই তাকে নির্যাতন করা হয় বলে ফোনে বাবাকে জানায়।নির্যাতন সইতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে।তাই তিনি এর বিচার দাবি করেন।এদিকে আল আমীন জানায়, ইতি ছিল অভিমানী মেয়ে।সামান্য কথাকাটির ঘটনায় সে এমন সর্বনাশা কান্ড করেছে।এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) কাইয়ুম সিদ্দিকী জানান,পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।