বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ ও হুমকির বিচার, লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরির প্রকৃত চোরকে শনাক্তকরণ এবং তদন্তের রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেইটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল শিকদার বাবু, শেখ তারেক ও ফাহাদ সার্জিল সহ অন্যান্যরা।মানববন্ধনে উপস্থিত জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ইতিপূর্বে আমরা দুইটি মানববন্ধন করেছি। তার একটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির প্রকৃত চোরদের মুখোশ উন্মোচন এবং তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।আরেকটি ছিল পিতৃ সমতুল্য শিক্ষকদেরকে যে অপমান করা হয়েছে তার উপযুক্ত বিচারের জন্য ।এসময় তিনি আরও বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এমন চুরির ঘটনা বারবার ঘটবে।অতিদ্রুত এই চুরির সাথে জড়িত মূলহোতাদের মুখোশ উন্মোচনসহ চুরির সাথে জড়িত প্রত্যেক চোরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে ।"
মানববন্ধনের বক্তব্যে উপস্থিত শেখ তারেক বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী কম্পিউটার চুরির চোরের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আগ্রহী কিন্তু এখনো কেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। বাকি ১৫ কম্পিউটার উদ্ধার ও পরে চুরি যাওয়া ২ কম্পিউটার চুরিসহ এর দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।এছাড়া উক্ত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বাবুল শিকদার বাবুসহ অন্যান্যরা ।এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, "কম্পিউটার চুরির তদন্ত প্রতিবেদন যথাসময়ে রেজিস্ট্রার অফিসে জমা হয়েছে, পরবর্তীতে বিষয়টি উঠবে শৃঙ্খলা বোর্ডে।শৃঙ্খলা বোর্ডের সভাপতি মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর, তিনি যখনই আমার কাছে প্রতিবেদনটি তলব করবেন, আমি তখনই রিপোর্টটি তাকে দিয়ে দেবো।
প্রসঙ্গত, গত ৯ই আগস্ট বশেমুরবিপ্রবি ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা সামনে আসে । এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরাসরি চুরিতে অংশ নেওয়া মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । যাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একজন, বাকিরা বহিরাগত । এছাড়া গত ১৬ সেপ্টেম্বর বশেমুরবিপ্রবির ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে আরও দুইটি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে ।