লিটারে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ তেল কম দেয় পেট্রল পাম্পগুলো। অভিনব কায়দায় হাজার হাজার লিটার জ্বালানি তেল চুরি করছে তারা। এভাবে ভোক্তাদের ঠকিয়ে লুটে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অভিযানে এ রকম পুকুরচুরির প্রমাণ মিলিছে। এ অভিযোগে চার পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে মামলাসহ একটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মিরপুর-২ এর শাহআলীবাগ এলাকার পেট্রল পাম্প মেসার্স স্যাম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন গড়ে আনুমানিক ৩৬ হাজার লিটার পেট্রল, অকটেন ও ডিজেল বিক্রি করে। স্যাম অ্যাসোসিয়েটসের চারটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে প্রতি ১০ লিটারে ৫৪০ মিলিলিটার, ৫৩০ মিলিলিটার, ৫২০ মিলিলিটার ও ৫০০ মিলিলিটার তেল কম; দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে প্রতি ১০ লিটারে ৪৪০ মিলিলিটার ও ৪১০ মিলিলিটার অকটেন কম এবং দুটি পেট্রল ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে প্রতি ১০ লিটারে ৪৬০ মিলিলিটার ও ৪৭০ মিলিলিটার পেট্রল কম দেয়া হয়। এ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি দিনে গড়ে প্রায় দুই হাজার লিটার তেল কম দেয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮’ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর উত্তরা ও গাজীপুর এলাকায় বিএসটিআই অভিযান পরিচালনা করে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে।
অভিযুক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি উত্তরার আজমপুর এলাকার মেসার্স কসমো ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটির দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ১৪০ মিলিলিটার অকটেন ও চারটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ১৫০ মিলিলিটার, ১২০ মিলিলিটার, ১৯০ মিলিলিটার ও ২০০ মিলিলিটার ডিজেল কম প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি সুপারটেক ও দুটি হাইটেক ডিসপেন্সিং ইউনিটে বিএসটিআইর সিলবিহীন অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছে। উত্তরা তুরাগ এলাকার মেসার্স লতিফ অ্যান্ড কোং ফিলিং স্টেশন অকটেন ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৩১০ মিলিলিটার এবং দুটি ডিজেল ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ১৬০ মিলিলিটার ও ১৭০ মিলিলিটার তেল কম দেয় বলে প্রমাণ পায় বিএসটিআই।
গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকার মেসার্স মুন স্টার ফিলিং স্টেশনের একটি অকটেন ও একটি ডিজেল ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৬০ মিলিলিটার ও ৭০ মিলিলিটার তেল কম দেয় এবং চারটি গিলবার্কো ডিসপেন্সিং ইউনিট বিএসটিআইয়ের সিলবিহীন অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছে। বিএসটিআইয়ের এ অভিযানে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পরিদর্শক মো. লিয়াকত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন অংশ নেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।