কৃষিমন্ত্রী ড. আ: রাজ্জাক এমপি বলেছেন ভূঞাপুর, গোপালপুর ও মধুপুরে বন্যায় কৃষকদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা সরকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পুষিয়ে দিবে। তিনি আরোও বলেন, বিশেষ করে বন্যার সময় যেসমস্ত বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে তা কৃষকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তেমনি কৃষি ক্ষেত্রেও এর একটা প্রভাব পড়েছে। তিনি আরোও বলেন, এ বছর কৃষকদের উৎপাদিত ধানের নায্যমুল্য দিতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আগামী বছর থেকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
সোমবার (৫ আগষ্ট) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক (টেপিবাড়ী) ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বন্যায় কৃষিখাতে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা যে পর্যন্ত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারবেন ততদিন পর্যন্ত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল-কলেজ রাস্তা-ঘাট দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ দিতে এসেছি। ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে প্রায় ২ হাজার জমির উপর ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে অর্থনৈতিক যোন নির্মাণ করা হবে। এতে করে এই অঞ্চলের কেউ আর বেকার থাকবে না। বাংলাদেশে একটি চক্র গুজব ছড়াচ্ছে। গুজবে কেউ কান দিবেন না।
পরে কৃষিমন্ত্রী টেপিবাড়ী ভাঙন পরিদর্শন শেষে উপজেলার গাবসারা, নিকরাইল ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংসদ ছোট মনির, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম অ্যাডভোকেট, ইউএনও ঝোটন চন্দ, পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ প্রমুখ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।