মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ আদালতের নিষেধাঞ্জা ও সরকারের নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করে অভিনব পন্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকরা। প্রশ্নপত্র ফাস রোধে চলতি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর আগেই সব ধরনের কোচিং বন্ধের দিয়েছে উচ্চ আদালত। কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর বিষয় সরকারের রয়েছে সুনিদিষ্ট নীতিমালা। তারপরও আদালত ও মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অমান্য করে কালকিনি উপজেলার গোপালপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু সংক্ষক শিক্ষকরা অভিবাবকদের এক প্রকার বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট/কোচিং পড়ানোর জন্য। তারা নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে কোচিং/প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে অনেক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৭:৩০ মিমিটের সময় সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি ব্যাচে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করান উক্ত স্কুলের শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিনসহ অনেক শিক্ষক। তবে বুঝার উপায় নেই, অভিনব পন্থায় করান কোচিং।
স্কুলের মুল ফটকে তালা দিয়ে বন্ধ করে করানো হয় কোচিং। এমন দৃশ্য ক্যামেরায় ধারনের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের দৌড়ে পালানোর কথা বলে যানিয়ে দেয় শিক্ষকরা। এসময় নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ,অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, আমরা খুব সকালে কুয়াশার ভিতর দিয়ে এই শীতের মধ্যে স্কুলে আশি কোচিং করতে। আর আমাদের ৫০০শত টাকা করে প্রতি মাসে দিতে হয়। আর না পড়লেতো পাশ করাবে না। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক, কিছু অভিবাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিরুপায় হয়েই কোচিং করান তাদের সন্তানদের।সন্তানরা স্কুল থেকে এসে বলে আব্বা স্যারের কাছে না পড়লে পাশ করাবে না। এখন আপনি বলেন কি বা করার আছে আমার। কিন্তু সাথে সাথে ধন্যবাদও জানায় বর্তমান সরকারকে, কোচিং/ প্রাইভেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরে-আলম ছিদ্দিক বলেন, আমি সরকারের বর্তমান নীতিমালা দেখে নির্দেশ দিয়েছি কোন শিক্ষক কোচিং/ প্রাইভেট পড়াবেন না। গোপনে কোন শিক্ষক করালে আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ হলে তিনি বলেন, এধরনের কোচিং বানিজ্য করলে তাদেরর আইনের আওতায় আনা হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।