প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ২১:৫০
পিরোজপুর সদর উপজেলার ৩৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হলো শিক্ষা অধিদপ্তরের পারফরমেন্স বেজড ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিমের আওতায় বিশেষ পুরস্কার। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী আযিযী, জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক জিয়াউল আহসান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটার মো. জহিরুল হক, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও এনায়েত করিম খান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখে চন্দ্রিকা মন্ডল, নুসরাত জাহান এবং শাহরিয়ার শাহনেওয়াজ।
বক্তারা বলেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পিরোজপুর জেলা টানা তিন বছর মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, যা জেলার জন্য গৌরবের বিষয়। এই অর্জন ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের আরো অধ্যবসায় ও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন রয়েছে। বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকারের এই পুরস্কার উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে বক্তারা পিরোজপুরে বাল্যবিবাহের উচ্চ হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, অকালবিবাহের কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অঙ্কুরেই থেমে যাচ্ছে। এই প্রবণতা রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসিতে ১৪ জন, দাখিলে ৩ জন, এসএসসিতে ১১ জন, ভোকেশনালে ৪ জন এবং আলিমে ৫ জন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করায় পুরস্কার লাভ করে। এর মধ্যে এইচএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের ২৫ হাজার টাকা, একটি ক্রেস্ট ও একটি সার্টিফিকেট এবং এসএসসি ও আলিম উত্তীর্ণদের ১০ হাজার টাকা, একটি ক্রেস্ট ও একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এই স্বীকৃতি তাদের ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তারা লেখাপড়া চালিয়ে গিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানটি এক আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়।
এই আয়োজনে অভিভাবকরাও সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এমন উৎসাহজনক উদ্যোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উভয়ের মাঝে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকে, এমন প্রত্যাশা সকলের।