সুবর্ণচরে গণধর্ষণ, মেম্বার রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩রা জানুয়ারী ২০১৯ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সুবর্ণচরে গণধর্ষণ, মেম্বার রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার

ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (২ জানুয়ারি) গভীর রাতে নোয়াখালী সদর ও সেনবাগ উপজেলা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ দু’জন মিলিয়ে আলোচিত গণধর্ষণকাণ্ডে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো। রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বেচু ব্যাগা গ্রামের আবু কাশেমের ছেলে। চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রাতে পুলিশের দু’টি দল সদর উপজেলার উত্তর ওয়াপদার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে ও সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারের ৫ নং আসামি বেচুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বার যদি অপরাধী হয় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমরা দ্রুত সাংগঠনিক মিটিংয়ে বসে ও দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ি যদি তার অপরাধ প্রমাণিত হয় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। ভিকটিমের অভিযোগ, রোববার নির্বাচনের দিন ওই গৃহবধূ ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন রুহুল আমিন। ওই দিন রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা। গণধর্ষণের ঘটনায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়ে গেছে। পুরো ঘটনাটি ঘটিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। কিন্তু মামলায় আসামি করা হয়েছে নয়জনকে। কৌশল ও প্রভাব খাটিয়ে ঘটনার মূলহোতা রুহুল আমিনকে মামলার কাগজপত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।