শহীদ হাদির পরিবার পাচ্ছে বিশেষ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, আন্দোলনের সমন্বয়ক, সংসদ-সদস্য প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে এবং অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নিরাপত্তা পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। এছাড়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে গানম্যান চেয়ে আবেদন করেছেন।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পলাতক নেতাকর্মীরা দেশ-বিদেশ থেকে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের হুমকি দিয়ে আসছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদিকেও হত্যার আগে দীর্ঘদিন বিদেশি নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর তাকে গুলি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ‘ভালনারেবল’ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকার অনুযায়ী নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের অস্ত্রধারী রক্ষী দেওয়া হয়েছে।”