প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪২
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বুধবার জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, কোনো দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের দলীয় প্রতীকও স্থগিত থাকবে এবং তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করা সম্ভব কিনা তা সময় নির্দেশ করবে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে তাদের নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। যদিও আওয়ামী লীগের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, স্থগিত থাকা দলের বিষয়ে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। তিনি জানান, গত মে মাসে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
নির্বাচন সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত বিবরণ দেন ইসি। তিনি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন এবং আদালতের মাধ্যমে ফেরারি ঘোষিত প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এছাড়া সরকারি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার থাকা প্রতিষ্ঠান বা লাভজনক পদে যারা আছেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ইসি আরও বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দিলে প্রার্থীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে এবং জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোট থাকবে ব্যালটে এবং জোটবদ্ধ নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে অংশ নেবেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইভিএম সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল হয়েছে। মিডিয়ার ব্যক্তিরা ভোট গণনায় অংশ নিতে পারবেন, নির্বাচনী পোস্টার বাতিল করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ করা যাবে না। কার্যক্রম নিষিদ্ধ কোনো দলের নিবন্ধন স্থগিত থাকবে এবং দলীয় প্রতীক সংরক্ষিত থাকবে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন কার্যক্রম স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু রাখতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের জন্য নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এভাবে নির্বাচনী নিয়মাবলী কঠোর করা হয়েছে, যাতে ভোটারদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে এবং কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব এড়ানো যায়। নির্বাচনের নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখতে ইসি সব ধরনের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।