প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ২০:২৬
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে অগ্রসর হতে চাইছে। রোববার ঢাকার সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের বর্ধিত আলোচনা শুরু হয়। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-একদিনের মধ্যে শেষ করে শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় তারা এগিয়ে যাবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দ্বিতীয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা থাকবে সেগুলো সমাধানের জন্য ঐকমত্য সৃষ্টি সম্ভব হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এই আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বহু রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে। যারা এই আত্মদানের মাধ্যমে সুযোগ তৈরি করেছেন, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। এই দায় শুধু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয়, বরং দেশের সকল রাজনৈতিক শক্তি, সুশীল সমাজ এবং সামাজিক সংগঠনগুলোরও রয়েছে।
আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, এহসান মাহবুব যোবায়েরসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এছাড়া সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির এবং সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামী গত ২০ মার্চ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয়। এর পর ২৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দলটির সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। রোববারের এই বর্ধিত আলোচনায় পূর্বের অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আশা করছে, শিগগিরই সকল পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা গড়ে তুলে জাতীয় সনদ প্রস্তুত করা সম্ভব হবে, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক ঐক্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।