প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ২২:৪৮
কুমিল্লার দেবীদ্বারে জামেয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম রামপুর মাদ্রাসার মুহতামিম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে দেবীদ্বারের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয়রা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোঃ লোকমান হোসেন, মাওলানা আঃ তাহের, মুফতি সানাউল্লাহ, হারুনুর রশিদসহ আরো অনেকে। তাঁরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বহিরাগত সন্ত্রাসী দল হঠাৎ মাদ্রাসায় হামলা চালায় এবং মুহতামিমসহ শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
বক্তারা জানান, হামলাকারীরা শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মুহতামিমের রুমে প্রবেশ করে তাঁকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। এমনকি তাঁকে রুম থেকে জোর করে বের করে দিয়ে রুমে তালা মেরে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মাওলানা লোকমান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দ্বীনি শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ হাফেজ সালমানের নানা অনিয়মে মাদ্রাসার শিক্ষা ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিক্ষকরা ঠিকমতো বেতন না পেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর এলাকাবাসীর সমর্থনে একটি নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় এবং তাঁকে মুহতামিম করা হয়। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ পুরনো অনিয়ম ঢাকতে ও দুর্নীতির হিসেব এড়াতে কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।
ঘটনার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের সাথেও যোগাযোগ করেছেন বলে জানান। বর্তমানে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
স্থানীয়রা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার এই ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।