প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১১:৫০
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশি প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যের বিষয়ে সাফ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ নিয়ে বাইরের কোনো দেশের মন্তব্য বা চাপ আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি দেশের জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
ভারতের প্রতিক্রিয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা এখনো তাজা। এই দল দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে এবং মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করে একক শাসন কায়েম করেছে। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক চর্চা গভীর সংকটে পড়েছে।
শফিকুল আলম আরও জানান, ১৫ বছরের শাসনে আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থের চেয়ে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছে। এতে করে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব বারবার আপসের শিকার হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশের জনগণের শক্ত ভূমিকা ও সচেতনতা জরুরি।
তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখন একটি শক্তিশালী সংস্কার প্রক্রিয়ায় কাজ করছে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই সংস্কার প্রক্রিয়া শুধু নির্বাচন নয়, পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনের প্রয়াস বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, এটি কোনো প্রতিশোধ নয়, বরং নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অংশ। দেশের মানুষের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের রক্ষা করতেই এমন পদক্ষেপ দরকার।
তিনি বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ বারবার প্রহসনের নির্বাচন করেছে, যার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সমগ্র নির্বাচন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই এখন দেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।
সবশেষে প্রেস সচিব জানান, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। এ কারণে দায়ী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই।