যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়াশিংটনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আগে ট্রাম্প এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন যেখানে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এক ভারতীয় সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন কাজ করছেন এবং এটি বহু বছরের একটি ইস্যু।
ট্রাম্পের বক্তব্যে মোদিকে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। বাংলাদেশ নিয়ে কিছু না বলে তিনি ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। এ বৈঠক ঘিরে কূটনৈতিক মহলে নানা বিশ্লেষণ চলছে। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর থেকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। আওয়ামী লীগ দাবি করছে, তাদের সরকার পতনের পেছনে বাইডেন প্রশাসনের হাত ছিল। তবে ওয়াশিংটন বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদির নিরবতা এবং ট্রাম্পের বক্তব্যের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক বার্তা আছে কি না, তা নিয়েও বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ভারত বরাবরই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায়। তবে মোদির বক্তব্য না দেওয়া নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিলো যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা। তবে বৈঠকের আগেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসায় এটি আন্তর্জাতিক মহলে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা আলোচনা থাকলেও মোদির নিরবতা ভারত সরকারের অবস্থান সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে। ট্রাম্পের বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাই সামনে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বৈঠকের ফলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কীভাবে এগোবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বাংলাদেশ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহল এখনো গভীরভাবে নজর রাখছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।