বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে গণআন্দোলনের সময়কার হামলা, হত্যা ও গুলিবর্ষণের তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থির চিত্র ও ভিডিও আপলোডের আহ্বান জানানো হয়েছে। রোববার প্রকাশিত ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত ঘটনাগুলোর প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ‘আন্দোলনের ছবি’ ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি ও ভিডিও জমা দেওয়া যাবে। আপলোডকারীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্তও নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ পাঁচটি ছবি বা ভিডিও আপলোড করা যাবে।
সুবিধাটি ব্যবহার করতে আপলোডকারীদের মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানো হবে এবং সেটি যাচাই করেই কেবল ফাইল আপলোডের সুযোগ থাকবে। একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে লগইন করলে আপলোড করা ফাইলগুলো দেখা যাবে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আন্দোলনের সময় সংঘটিত ঘটনাগুলোর ডিজিটাল প্রমাণ সংরক্ষণ করা হবে।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে ছবি ও ভিডিও আপলোড করা যাবে। পুলিশের দাবি, এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলোর স্বচ্ছ তদন্ত ও দায়ীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
তবে পুলিশের এই আহ্বান নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। অনেকে মনে করছেন, এটি জনগণের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের একটি প্রচেষ্টা হলেও এর ব্যবহারের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলির ঘটনার ফুটেজ সংরক্ষণের এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, তথ্য সংগ্রহের এই প্রক্রিয়াটি ভবিষ্যতে কোনো পক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলো নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পুলিশের এই ওয়েবসাইট কতটা নিরপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে বিভক্ত মতামত দেখা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।