প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘জুলাই স্মৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানমালা’র অংশ হিসেবে নতুন করে আরও চারটি থিম্যাটিক পোস্টার উন্মোচন করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্টারগুলো প্রকাশ করা হয়। এতে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, আন্দোলনের অন্তর্নিহিত বার্তা এবং রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তীর চিত্রনৈপুণ্যে প্রকাশিত পোস্টারগুলো জুলাই ‘পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালার সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
পোস্টারে প্রাধান্য পেয়েছে স্বৈরতন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন ও রাষ্ট্রক্ষমতার ছায়ায় সংঘটিত অবিশ্বাস্য লুটপাট। শিল্পীর তুলিতে ফুটে উঠেছে একদিকে মানুষের দাবিদাওয়া, অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের গলায় ফেনা তুলে ‘মানুষকে দিতে আসা’র নাটকীয় বক্তব্য, যার ভেতরের চিত্র এখন দেশের সামনে নগ্ন। সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের ভাষায় আঁকা এই পোস্টারগুলো দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে স্মরণ করিয়ে দেয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে দেবাশিস চক্রবর্তী এই পোস্টারগুলো আঁকলেও শুরুতে মাত্র দশটি পোস্টারের পরিকল্পনা থাকলেও জনগণের আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় আরও কয়েকটি পোস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া প্রতিরোধ ও সংগ্রামের অনিবার্যতা তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে বলে জানানো হয় পোস্টের বিবরণে। পোস্টারগুলো শুধু অতীত স্মৃতিচারণ নয়, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিও একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত বহন করে।
প্রসঙ্গত, জুলাই স্মৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে মাসের প্রথম দিন থেকে। এই মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্মারক প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা সভা এবং পোস্টার প্রদর্শনী। জনগণকে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সচেতন করতে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, স্মৃতিকে নান্দনিকভাবে ধারণ ও উপস্থাপনের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যতের পথনির্দেশনা তৈরি করা সম্ভব।