প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩১
মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ সরকার। ইতোমধ্যে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার প্রশাসনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করে আটক ব্যক্তিদের পরিচয়, অভিযোগের ধরণ ও আইনি অবস্থান জানতে চেয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, অন্যদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে এবং কয়েকজনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে প্রয়োজনে আটকদের আইনি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায়। সরকার বলছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনগত অধিকার রক্ষার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও বাংলাদেশ তার নাগরিকদের নিয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে।
সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থানে অবিচল। দেশটির নীতিগত অবস্থান জিরো টলারেন্স এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন ও প্রাসঙ্গিক কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মালয়েশিয়ার তদন্ত প্রক্রিয়াকে সহায়তা করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বারবারই বলছে, কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যদি অপরাধে জড়িত থাকেন, তবে তারা যেন সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী বিচার পান, তাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। তবে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ চলছে এবং আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কিছু সুযোগও তৈরি করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে প্রবাসীদের মাঝে আস্থার বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।