তিতুমীর কলেজের সামনে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ, শিক্ষার্থীদের অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: রবিবার ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২৯ অপরাহ্ন
তিতুমীর কলেজের সামনে বাঁশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ, শিক্ষার্থীদের অবরোধ

রাজধানীর তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। রোববার বেলা ১২টার দিকে কলেজের সামনের রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী থেকে গুলশান এবং গুলশান থেকে মহাখালী পর্যন্ত যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে দাবি পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় রাস্তার যাত্রীদের সঙ্গে তাদের কথোপকথন হয়। যাত্রীরা রাস্তা খুলে দিতে বললেও শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না বলে জানান। 


রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজন অসুস্থ হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আইন ও সাংবাদিকতা বিষয় চালু করা, যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ, আসন সংখ্যা সীমিত করা এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার নির্মাণের জন্য জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা। 


তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। বুধবার বিকেল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আন্দোলন এখনও অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 


এই আন্দোলনের পটভূমিতে কলেজ প্রশাসন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে।