ভূরুঙ্গামারীতে অজ্ঞাত রোগে ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , নিজস্ব প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: রবিবার ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:১৬ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে অজ্ঞাত রোগে ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক পোল্ট্রি খামারে অজ্ঞাত রোগে ২২২টি ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে নিরব পোল্ট্রি খামারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন খামার মালিক। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। খামারি বদরুজ্জামান রতন জানান, শনিবার রাত পর্যন্ত মুরগিগুলো সুস্থ ছিল। সকালে খামারে গিয়ে দেখি ২১ দিন বয়সী সব মুরগি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে তার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।  


খামারের মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে জানানো হলে কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশিকুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত কারণে রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে মুরগিগুলো মারা গেছে। তবে মৃত মুরগির পোস্টমর্টেমের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।  


এদিকে, একদিনের ব্যবধানে এত সংখ্যক মুরগির মৃত্যুতে খামার মালিকের পাশাপাশি স্থানীয় খামারিরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, এ ধরনের রোগ আরও খামারে ছড়াতে পারে। এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।  


স্থানীয় খামারিরা জানান, শীতের কারণে মুরগির নানা রোগ দেখা দেয়। তবে এত সংখ্যক মুরগির একসঙ্গে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। তারা মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অন্য খামারগুলোও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।  


প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত খামারের আশপাশের অন্যান্য খামারও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। মুরগির খাদ্য ও পরিবেশগত কারণে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


অন্যদিকে, খামারি বদরুজ্জামান রতন দাবি করেছেন, তার খামারে নিয়মিত ওষুধ ও টিকা দেওয়া হয়। তারপরও এভাবে মুরগির মৃত্যু হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।  


পোল্ট্রি খামারিদের অনেকে ক্ষতির মুখে পড়লেও সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তারা মনে করেন, এ ধরনের দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ বা সহায়তা প্রদান করা হলে খামারিরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।  


ভূরুঙ্গামারীতে পোল্ট্রি শিল্প দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।