নোয়াখালীর পন্ডিতেরহাটে প্রধান শিক্ষককে মারধর করলেন বিএনপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: রবিবার ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:২৭ অপরাহ্ন
নোয়াখালীর পন্ডিতেরহাটে প্রধান শিক্ষককে মারধর করলেন বিএনপি নেতা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পশ্চিম চরকাঁকড়া পন্ডিতেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এন এন ইয়াছিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা ডা. রেজাউল হকের বিরুদ্ধে। রোববার বেলা ১১টার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের পন্ডিতেরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি পদে নিজের ছেলেকে বসাতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে গালমন্দ ও মারধর করেন তিনি। এ ঘটনার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ফার্মেসি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্তকে উদ্ধার করে।  


বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে এডহক কমিটি গঠনের আলোচনা চলছিল। ডা. রেজাউল তার ছেলে তানভীর হোসেন শুভকে সভাপতি করতে চেয়েছিলেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাকে মনোনীত করা হয়নি। পরিবর্তে তিনজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়, যা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডা. রেজাউল প্রধান শিক্ষককে পথে আটকে কিল-ঘুষি মারেন এবং প্রকাশ্যে হেনস্তা করেন।  


পুলিশ জানায়, ঘটনার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে অভিযুক্ত নেতাকে ফার্মেসিতে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।  


অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. রেজাউল হক মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তবে গালমন্দ করার কথা স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ ১৪ বছর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে সদস্য ছিলেন এবং তার ছেলে মাস্টার্স পাস করেছেন, যা অন্যদের তুলনায় যোগ্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ষড়যন্ত্র করে তার ছেলের নাম বাদ দিয়েছেন।  


এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।