জামালপুরে আওয়ামী লীগের ছয় নেতা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
শাওন মোল্লা , জেলা প্রতিনিধি- জামালপুর
প্রকাশিত: রবিবার ২রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:১৩ অপরাহ্ন
জামালপুরে আওয়ামী লীগের ছয় নেতা আটক

জামালপুরে জুলাই-আগস্টের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ছয় নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নীরু আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা এমারত হোসেন, আজাদুর রহমান, মজনু মিয়া, জুলফিকার আহমদ ও আক্তারুজ্জামান। পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে দুইজনকে জামালপুর থানা পুলিশ ও বাকিদের গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে।  


জামালপুর থানার ওসি আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বে দায়ের করা মামলাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জামালপুরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও কিছু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে সংঘটিত কিছু ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করছে।  


এদিকে, আটক নেতাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, তাদের স্বজনদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করছে, যথাযথ তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।  


জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জের ধরে বেশ কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। কিছু নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  


এ বিষয়ে জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  


অন্যদিকে, জামালপুরের রাজনৈতিক মহলে এই গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছেন। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না।